চাকরির পরীক্ষায় যেভাবে ভাল প্রস্তুতি নেয়া যায়, সে সম্পর্কে বিস্তারিত


ইংরেজী

ইংরেজীতে মোটামুটি ৪-৫ টাইপের প্রশ্ন আসে । রিডিং কম্প্রিহেনশন, ফিল-ইন দ্যা ব্ল্যাংকস, এরোর ডিটেকশন, সেন্টেন্স কারেকশন, এলালজি ইত্যাদি ।

গ্রামার

আমার মতে ইংরেজী শুরু করা উচিত গ্রামার পার্ট দিয়ে । কারণ এখানে মুখস্ত করার চেয়ে বোঝার মত জিনিস বেশী । গ্রামারের জন্য সবচেয়ে কমন, সহজ ও ভালো সোর্স হচ্ছে ক্লিফস টোফেল ।

ক্লিফস টফেলের টপিকগুলোই গুড এনাফ । এখান থেকে কোন কিছু না বুঝলে ম্যানহাটন জিম্যাট সেন্টেন্স কারেকশন বইটি দেখতে পারেন ।
ক্লিফস টফেলের লেসনগুলো শেষ করার সাথে সাথেই দেখবেন পেছনের দিকে কিছু এক্সাআরসাইজ দেয়া আছে । সেগুলো শেষ করে ফেলুন ।
ফারদার গ্রামার প্র্যাকটিসের জন্য অনেকেই অফিসিয়াল জিম্যাট সাজেস্ট করেন । ইনফ্যাক্ট আমিও আগে করতাম । তবে অফিসিয়াল জিম্যাটের সেন্টেন্স কারেকশনগুলো একটু এডভান্সড লেভেলের ।


ইদানিং এত কঠিন সেন্টেন্স কারেকশন রিক্রুটমেন্ট টেস্টগুলোতে আর আসে না ।  তাই এর চেয়ে বরং ব্যারনস স্যাট আর নোভা’স স্যাট থেকে প্র্যাকটিস করাটা কনভেনিয়েন্ট ।

ভোকাব

রিক্রুটমেন্ট টেস্টগুলোতে ভকাব রিলেটেড প্রশ্নগুলোর মধ্যে থাকে এনালজি, সিনোনিম, এনটোনিম, ফিল ইন দ্যা ব্ল্যাংকস । এগুলোর জন্য অনেকেই অয়ার্ড স্মার্ট বা জিআরই’র ৩,০০০-৪,০০০ ওয়ার্ড সাজেস্ট করেন ।
আমার মতে ভোকাবের জন্য ফিক্সড কোন বই ফলো করা টাইম নষ্ট । এর প্রথম কারণ ভোকাব মুখস্ত করে লাভ নেই । রিটেনশন রেট মাত্র ২০% । অর্থাৎ, আপনি যতভাবেই মুখস্ত করার চেষ্টা করেন না কেন ১০টির মধ্যে ৮টি ওয়ার্ডই ভুলে যাবেন ।
এর জন্য ভালো উপায় হচ্ছে হাই-ফ্রিকোয়েন্সী কিছু ওয়ার্ড মুখস্ত করে র‍্যনডম ওয়ার্ড শিখতে থাকা । আই মিন, নিউজ পেপার, নভেল ও আর্টিকেল থেকে ওয়ার্ড শেখা ।

এতে করে, আপনি শব্দগুলোর এপ্লিকেশন দেখতে পাচ্ছেন । এই প্রসেসে রিটেনশন রেট ৫০% এর উপর ।

রাইটিং

রাইটিং কখনই ওভার নাইট ডেভেলোপ করা সম্ভব না । রাইটিং ইন্ডিকেট করে একটি ভাষার উপর আপনার দখল কত ভালো । সো রাইটিং-এ ভালো হতে হলে আপনাকে অভারল ইংরেজীতেই ভালো হতে হবে ।
রাইটিং এর জন্য প্রথমেই কমন গ্রামাটিক্যাল মিস্টেকগুলো এভোয়েড করুন । যেমনঃ সাবজেক্ট-ভার্ব এগ্রিমেন্ট, টেন্স, প্রোনাউন এরোর, মডিফায়ার এগুলো ভালোভাবে ঠিক থাক করে নিন ।
প্রচুর পরিমাণে রিডিং পড়ুন । দেশী নিউজ পেপারগুলো মধ্যে নিউ এজ, ফাইনাইনশিয়াল এক্সপ্রেসগুলো দেখতে পারেন । এদের রাইটিং প্যাটার্ন ভালো ভাবে অবসার্ভ করুন ।


নেটে আইইএলটস, জিআরইর রাইটিং সেকশনের জন্য কিছু কমন টেমপ্লেট পাওয়া যায় । এগুলো দেখতে পারেন ।
আর প্রতিদিন অন্তত ১০ লাইন করে লেখুন । এরপর নিজে নিজে সেখানে ভুল খোঁজার চেষ্টা করুন । অথবা লেখাটিকে আরো কিভাবে উন্নত করা যেত সেটি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করুন ।

ম্যাথ

ম্যাথ সেকশনটা অনেকের জন্যই চ্যালেঞ্জিং । এখানে যে টপিকগুলো এসে থাকে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে, প্রফিট-লস, নাম্বার থিউরী, ইনইকুয়ালিটি, বোট-স্ট্রিম, পাইপ-সিস্টার্ন, জিয়োমেটরী, প্রোবাবিলিটি, পারমিউটেশন-কম্বিনেশন ।
এখানে প্রথমেই লাস্ট কয়েক বছরের ট্রেন্ড ধরার চেষ্টা করুন । আই মিন, কোন ধরনের ম্যাথসগুলো রিলেটিভলী বেশী এসেছে ।
খেয়াল করলে দেখা যাবে, প্রফিট-লস, নাম্বার থিউরী, ইনিকুয়ালিটি থেকে তুলনামুলকভাবে বেশী ম্যাথস টেস্টগুলোতে আসছে । সো এগুলোর উপর একটু বেশী জোর দিন ।
আবার প্রোবাবিলিটি, পারমিউটেশন-কম্বিনেশন খুব বেশী ফ্রিকোয়েন্টলী আসছে না । সো এগুলো একটু হালকাভাবে করুন ।
ম্যাথস শুরু করুন অফিসিয়াল জিম্যাট রিভিউ দিয়ে । এখানে কনসেপ্ট বিল্ড-আপ শেষ হলে চলে যান নোভা’স জিআরইতে চলে যান আর তারপর ব্যারন’স জি ম্যাট ।
মনে রাখবেন আপনি কতগুলো ম্যাথস করলেন এটার উপর আপনার ডেভোলোপমেন্ট নির্ভর করছে না । বরং কতগুলো ম্যাথস বুঝে বুঝে করছেন এটাই ম্যাটার করে ।
হ্যাপি প্রিপেয়ারিং !
পোস্টটি শেয়ার করুন ...


EmoticonEmoticon